কিভাবে র্যাংক করা যায়
আজকের এসইও টিউটোরিয়ালের পর্বে আলোচনা করব যে কিভাবে একটা ওয়েবসাইট কে এসইও করে র্যাংকে আনা যায়।
আজকের টিউটোরিয়াল শুরু করার প্রথমেই বলে নিচ্ছি এসইও করা কিন্তু একটু ধৈর্যের বিষয়।
যত তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করবেন তত কিন্তু ব্যার্থ হবেন।
একটা ওয়েবসাইটকে র্যাংকে নিয়ে আসার জন্য সর্ব প্রথমে যে কাজটি করতে হয় সেটা হলো ওয়েবসাইট কে সার্চ ইন্জিনের সাথে কানেক্ট করা।
ওয়েবসাইটকে কিভাবে সার্চ ইন্জিনের সাথে কানেক্ট করতে হয় সেটা সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা আছে
নিচের লিংক থেকে পড়ে নিন।
Google Search Console এ ওয়েবসাইট Submit করা
ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করার পর যে কাজটি করতে হয় সাইট ম্যাপ সাবমিট করা।
যাতে করে সার্চ ইন্জিন জানতে পারে যে আপনার ওয়েবসাইটে কোন ধরনের এবং কেমন কন্টেন্ট আছে।
সার্চ ইন্জিনের সাথে ওয়েবসাইটেকে কানেক্ট করার পর এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের দিকে নজর দিতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটের টাইটেল এবং Meta description ঠিক রাখতে হবে।
আসলে Meta description থেকে সার্চ ইন্জিন বুঝতে পারে যে ওয়েবসাইটটা কি সম্পর্কে।
ওয়েবসাইটের র্যাংক নির্ধারনের জন্য গুগল অনেক গুলো বিষয় বিশ্লেষণ করে তারপর একটা ওয়েবসাইটকে র্যাংকে নিয়ে আসে।
এজন্য গুগল কিছু নিয়ম মেনে চলে।
গুগল অফিসিয়ালি বলেছে যে তারা ২০০+ নিয়ম মেনে চলে একটা ওয়েবসাইট কে র্যাংকে নিয়ে আসার জন্য।
তবে তারা কোনো নিয়ম পাবলিশ করনি।
কারন গুগল যদি তাদের নিয়ম।গুলো পাবলিশ করে দেয় তাহলে সবাই তাদের ওয়েবসাইট কে র্যাংকে নিয়ে আসার জন্য সবাই সেই নিয়ম।গুলো অনুসরন করবে আর তাদের ওয়েবসাইটে সেই বিষয়গুলো বেশি বেশি করে অপটিমাইজ করবে র্যাংকে আসার জন্য।
এতে করে কেউ কন্টেন্টের দিকে বেশি ঝুকবে না শুধু র্যাংক করার জন্য মানহীন কন্টেন্ট তৈরি করবে।
যার কারনে যারা সঠিক ভাবে কাজ করে তাদের ক্ষতি হবে আর যারা এই নিয়ম।গুলো মেনে কাজ করে তারা মানহীন কন্টেন্ট লিখেও লাভ করবে।
তবে সঠিক ভাবে কাজ করলে অবশ্যই র্যাংক করা যাবে।
বিভিন্ন এসইও স্পেশালিষ্ট রা গবেষণা করে কিছু নিয়ম খুজে পেয়েছেন যেগুলোর মাধ্যমে সঠিক ভাবে কাজ করলে র্যাংকে আসা যাবে।
সেই বিষয়গুলো এখন আলোচনা করব।
1.Content
2.Domain age
3.User interaction
এছাড়া আরো কিছু নিয়ম।আছে যেগুলো সম্পর্কে এখন আলোচনা করছিনা।
তবে যেগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো নিয়ে আলোচনা করছি।
1.Content Quality
ওয়েবসাইটের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কন্টেন্ট।
কারন একজন ভিজিটর একটা ওয়েবসাইট ভিজিট করবে কন্টেন্ট পড়ার জন্য।
ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনের সাথে কানেক্ট করতে হবে প্রথমে
তারপর আপনাকে কন্টেন্ট লিখতে হবে।
কন্টেন্ট গুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে।
একটা ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয় হলো কন্টেন্ট।
তাই কন্টেন্ট গুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে।
আর কন্টেন্ট গুলো বড় হতে হবে।
শুধু কন্টেন্ট লিখলেই হবেনা সেটাকে
কোয়ালিটিফুল হতে হবে।
কন্টেন্ট গুলো হাই কোয়ালিটি হতে হবে আর বড় হতে হবে।
কারন হচ্ছে আপনার কন্টেন্ট গুলো বড় হলেও যদি কোয়ালিটিফুল না হয় তাহলে সেগুলো এসইও করে র্যাংকে আসা সম্ভব না।
যদিও এসও করে র্যাংকে আসা যেতে পারে।
কিন্তু র্যাংকে বেশিদিন থাকতে পারবেন না।
কারন ভিজিটর যখন দেখবে আপনার কন্টেন্ট কোয়ালিটিফুল নয় তখন সহজে আর কেউ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেনা।
যার ফলে গুগল বুঝে ফেলবে যে আপনার কন্টেন্ট কোয়ালিটিফুল নয় তাই সেটাকে র্যাংক থেকে নামিয়ে দিবে।
একটা কন্টেন্ট অবশ্যই কোয়ালিটিফুল হতে হবে আর বড় হবে নাহলে র্যাংকে আসতে পারবেন না।
আর গুগল সবসময় বড় আর কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট কে বেশি ভ্যালু দেয়।
তাই যদি র্যাংক করতে হয় তবে যে র্যাংকে প্রথমে আছে তার থেকে বড় আর কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট আপনাকে লিখতে হবে।
2.Domain Age
এসইও তে র্যাংকে করার ক্ষেত্রে ডোমেইনের বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কারন যারা এখন র্যাংকে আছে তাদের ডোমেইনের বয়স অনেক।
কিন্তু আপনি যদি এখন একটা নতুন ডোমেইন নিয়ে এসে যে প্রথমে অাছে তার সাথে প্রতিযোগিতা করতে যান তাহলর পারবেন না।
তাই র্যাংক করার ক্ষেত্রে ডোমেইনের বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
3. User Interaction
একজন ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় কিরকম আচরন করছে মানে ভিজিটর ওয়েবসাইটে এসেই কি চলর যাচ্ছে নাকি কন্টেন্ট পড়ছে সেটাকে এক কথায় বলে User Interaction মানে একজন ভিজিটর ওয়েবসাইটে কি ধরনের আচরন করছে।
User Interaction দেখ গুগল বুঝতে পারে যে কন্টেন্ট কোয়ালিটিফুল নাকি কোয়ালিটি নেই।
তারপর যদি কন্টেন্ট কোয়ালিটিফুল হয় তবে র্যাংকে নিয়ে আসে।
আজকের এসইও টিউটোরিয়াল কেমন লাগল কমেন্ট করে জানান।
এসইও নিয়ে সকল টিউটোরিয়াল গুলো পড়তে চাইলে নিচের লিংকে যান।
Add comment